জোর করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দেশকে কঠিন সংকটে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে বলেও দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার আন্দোলন ও সংগ্রাম যে মূল বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছিল তা ৭৫ সালে আওয়ামী লীগের পায়েই পদদলিত হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গণতন্ত্র অব্যাহতভাবে দেখার সৌভাগ্য জনগণের হয়নি। জাতির দুর্ভাগ্য সবসময় আমরা গণতন্ত্রের ধারায় থাকতে পারিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে বড় একটা সংকটের মধ্যে উপস্থিত হয়েছে। একদিকে গণতন্ত্র নেই, অন্যদিকে দেশের যে সার্বভৌমত্ব, সেই সার্বভৌমত্ব আজকে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এখন যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যেটা আমরা মনে করছি- গণতন্ত্রের জন্য যিনি সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যিনি এখনো আটক অবস্থায় আছেন, যিনি জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই ও সংগ্রাম করছেন, সেই নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একটা আন্দোলন করা জরুরি। এটাকে আমি আলাদা করে দেখতে চাই না। গণতন্ত্রের আন্দোলনের সঙ্গে এটা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আমরা বড় রাজনৈতিক দলগুলো এক মঞ্চে উঠতে না পারলেও যুগপতভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তকে আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হবে না। আমরা এই আন্দোলনে অবশ্যই সফল হবো। জনগণের পক্ষে, সত্যের পক্ষে এবং ন্যায়ের পক্ষে এবং রাষ্ট্র ও সমাজকে রক্ষা করবার যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।